মাসুদুল হক
সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা আয়নায়
মার্বেল পাথরের আকাশ
মেঘের প্রজাপতি আর কাঁচের বোতলে
নুনের গন্ধ মানুষের পানপাত্রে উঠে আসে
শিপ্রা, সিফাত আর মেজর সিনহা
কালো হীরার সন্ধানে
সৈকতে শুয়ে পড়লে মেঘের আতর
বাতাসে ছড়াতে ছড়াতে
ক্লান্তি এবং নিরাপত্তার মুখোশ
ইনানি সড়ক এবং দূরের আকাশ
মুখোমুখি হয়ে পড়ে
ঘুঘুর পালকে পৃথিবীর রৌপ্যরঙ ফেনা আর
নুনে ভরা কক্সবাজার জেগে ওঠে…
মাকড়সার মৃত্যুদৃশ্য নিয়ে আমরা কেউ ভাবি না
চম্বলের নদী থেকে শিপ্রা বেরিয়ে…
জঙ্গলের আত্মা ছুঁয়ে আসে সিফাত …
মুনিপুরে যেতে চায় মেজর সিনহা …
বয়সকে জামায় ঢেকে নিয়ে ওরা
একেকটি নির্বাসিত তারা
এসে মিলিত হয় সমুদ্র সৈকতে
ওদের রক্তের উচ্চারণ আমরা কখনও শুনিনি
প্রেমিকের নাম
যা ওদের রক্তে ঘুমায় … ঘুমায় …
তবে, সমুদ্রের বৃষ্টি থেকে আমরা নামটি শিখে নিই;
শরৎ ও কমলার স্বাদ আমরা জেনে নিই
বার্মা থেকে যারা ঢোকে –তাদের মধ্যে
আমাদের পূর্বপুরুষদের মতো কেউ কেউ
আনন্দ বাজার নিয়ে আসে কাগজে মুড়িয়ে
আমরাও সিনহার ক্যামেরায় সৈকতে আসি…
নিরাপত্তার মুখোশ খুলে যায়
বুলেটের শব্দ ছড়িয়ে পড়ে…
বারুদের গন্ধে আমাদের নেশা তৈরি হতে থাকে
তবুও বালুচরে আমাদের ঝুপড়ি তৈরি হচ্ছে
বাতাস চালায় না এবং আমরাও বাতাসে চলি না
বুকে পেরেক গেঁথে
বাতাস আমাদের আশ্রয় খনন করে
এবং আমরা বাতাসের পাহাড়ে পিঁপড়ার মতো ঘুমাই
আমরা গোপনে গান করি:
কক্সবাজার আমাদের তাঁবু;
কক্সবাজার আমাদের প্রাচীর ও নক্ষত্র