মুহম্মদ নূরুল হুদা
মা তুমি রেণু-মা, গণবাঙালির বুকে মুখ রেখে দিব্য ত্রসরেণু,
জাতিবাঙালির ঘরে ঘরে, মা তুমি, আলোকের মধুরেণ রেণু;
সন্তানেরা যুদ্ধজয়ী, রাখালিয়া পথ ধরে দিনশেষে হেসে হেসে
ফিরিয়ে আনবে আজ ধূলি-ধূসরিত পথে গোধুলির সব মনধেনু;
মা তুমি রেণু-মা, গণবাঙালির ঘরে ঘরে তুমি আজ দিব্য ত্রসরেণু।
জানালার মুখোমুখি সাজিয়ে রেখেছো তুমি উড়াল অধীর;
অপেক্ষায় কেটে গেছে জন্ম-মৃত্যু, জননীর দৃষ্টির তিতির;
ঘুরে ঘুরে তীরে এসে ঘুরে ঘুরে ফিরে গেছে সুদূরে-নিকটে
যখন জীবনসঙ্গী, জাতিমঙ্গলের দীক্ষা নিলে বিরহে-সঙ্কটে;
সতীর সংসারে বসে জাতিপিতা বাজালেন মৌনমিলনের বেণু;
মা তুমি রেণু-মা, জাতিবাঙালির বুকে-মুখে তুমি দিব্য ত্রসরেণু।
যে মুহূর্তে তছনছ হয়ে গেলো সাজানো সংসার, তুমি নির্দ্বিধায়
মধুমতী তীর ধরে ছুটে গেলে পালতোলা গহনায় পলিমোহনায়,
নিজেকে করলে চাষ সদ্যোজাত পলিচরে, ধাবমান ইলিশ-নৌকায়;
তোমাকেই লক্ষ্য জাতিকন্যা জাতিপুত্র ছুটে যায় জাতিঠিকানায়;
তুমি মাঠে মাঠে ফলিয়েছো ছয়ঋতু সাতরং, কত ফসলিয়া মেনু;
মা তুমি রেণু-মা, জাতিবাঙালির বুকে-মুখে তুমি দিব্য ত্রসরেণু।
রাসেলের ছোট্ট বুকে বুক রেখে ধারণ করেছো বুকে সব বাঙালি সন্তান;
মা তুমি রেণু-মা; আর হাসিনার মা, রেহানার মা, কামাল-ও-জামালের মা;
মা তুমি অনাদিকাল এ বাংলার ঘরে ঘরে জাতিবাঙালির চিরমাতৃপ্রাণ।
তোমাকেই শুঁকে শুঁকে সন্তানেরা পেয়ে যায় বাংলামায়ের সব সোঁদাঘ্রাণ।
মা তুমি রেণু-মা, মাঠে মাঠে ছয়ঋতু সাতরং, আরো কত ফসলিয়া মেনু;
মা তুমি রেণু-মা, জাতিবাঙালির বুকে-মুখে তুমি ভাসমান দিব্য ত্রসরেণু।
০৮.০৮.২০২০
(রাইজিং কক্স/কেআ/০৮ আগস্ট ২০২০)