রাইজিং কক্স ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুত করা হচ্ছে হাসপাতাল ও আইসোলশন সেন্টার।
তবে ঘাটতি রয়েছে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতির। এদিকে, অভিযোগ রয়েছে করোনা আতঙ্কে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক সাধারণ রোগী।
গাইবান্ধায় আমেরিকা প্রবাসী মা ও ছেলের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কিছুদিন পর তাদের পরিবারের একজনসহ সংস্পর্শে আসা আরেক আত্মীয়ের শরীরেও কোভিড-নাইনটিন পজিটিভ পাওয়া যায়। পরে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয় তাদেরকে। আতংকে চিকিৎসা না নিয়ে রোগীরা হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার কথা চিন্তা করে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মাত্র ৩ দিনেই জেলার ধানঘড়ার আনসার ভিডিপি ক্যাম্পে একটি আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, একটি উন্নয়ন সংস্থা আমাদের এই আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুতে সহযোগীতা করছে। আসবাবপত্র সরবরাহ সহ ব্যবস্থাপনার খরচ পর্যন্ত তারা বহন করবে। মেডিকেল টিম রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।
এদিকে, করোনা ভাইরাস শনাক্তের কোন সুযোগ নেই নোয়াখালীর কোথাও। তবে, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে করোনা ভাইরাস টেস্ট করার জন্য যেসব জিনিস থাকার প্রয়োজন তার বেশিরভাগই আছে। সংকট শুধু আরটি-পিসিআর মেশিন ও কীটসহ কিছু ল্যাব সামগ্রী।
নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাহফুজুর রহমান বাবুল বলেন, এই ল্যাবটা দিয়ে নোয়াখালী অঞ্চলে সবগুলো জেলার রোগীদের করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরিক্ষা সম্ভব।
সাতক্ষীরার ২২ লাখ মানুষের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র সদর হাসপাতাল। তবে, দুর-দুরান্ত থেকে আসা রুগীরাও ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা না পেয়ে। সরবরাহ নেই প্রয়োজনীয় ওষুধেরও। এ নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ মানুষের।
জরুরি সেবা বাদে সাধারণ চিকিৎসায় অনুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানালেন সিভিল সার্জন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, আপাদত আমরা জরুরি সেবা বাদে সাধারণ চিকিৎসার জন্য রোগীদের নিরুৎসাহিত করছি। আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু স্বাভারিক হবে।
জনসচেতনতায়- রাইজিং কক্স ডটকম
Leave a Reply