হোসেনউদ্দীন হোসেন
এখনি সময়। মুছে ফেলে দাও। জমেছে দেয়ালে ধূলো।
উড়োপাখি এসে ফেলে গেছে বীজ। গজিয়েছে তার চারা।
ঢুকেছে ভিতরে শিকড়।
এখনি সময়। উপড়ে ফেলো। ধুয়ে ফেলে দাও জলে।
সারা বাড়ি জুড়ে অবৈধ শিকড়
দেয়াল করেছে দখল।
ধরেছে দালানে ফাটল।
ছাদ গেছে ফেঁটে। ধ্বস নামবেই।
পড়বে মাটিতে ভেঙে।
বসতবাড়ি দখল হয়ে যাবে নষ্টের কবলে।
চলছে নষ্ট কাল।
এখনি সময়। ধুয়ে ফেলো সব জলে।
কড়ে বর্গায় ধরেছে ঘুন। বইছে হাওয়া নোনা।
ক্ষয়েছে ইটের কোনা। খসে পড়ছে ঝুরঝুর করে।
ফাটলের ভেতর রয়েছে সাপের খোলস।
গোপনে করেছে নিবাস। তোমার অজান্তেই।
কেমন একটা নষ্ট গন্ধে রয়েছে ঘরটা ভরে।
ভারি হয়ে যাচ্ছে বাতাস।
চারদিকে ঝোপঝাড়। মাথা তুলে আছে।
জমিন করছে গ্রাস। আস্তে আস্তে গতর ফোলাচ্ছে
করবে সর্বনাশ।
এখনি সময়। উপড়ে ফেলো। ধুয়ে ফেলো সব জলে।
তোমার বাড়ির মেঝের উপরে ইঁদুরের হাঁটাহাঁটি।
তোমার বাড়ির আঙিনার উপরে পড়েছে কালসিটে।
তোমার বাড়ির কার্নিসে ঘোরে নষ্টের কালো ছায়া।
কোনো আলো নেই। সূর্য করেছে আড়াল।
এখনি সময়। আলো জ্বালানোর। জানালাটা খুলে দাও।
ঘরের দরজা। ঘরের জানালা। খুলে দাও। খুলে দাও।
ভিতরে আসুক ভোরের আলো। ভোরের মুক্ত বাতাস।
ধূয়ে ফেলে দাও। ভোরের আলোকে। আলোর ঝর্ণাধারায়।
২১/০৪/২০২০
Leave a Reply