রাইজিং কক্স ডেস্ক : র্যাপিড কিটের অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উৎপাদিত করোনা কিট অনুমোদনের নমুনা হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন। সোমবার দুপুরে, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অসহযোগিতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সরকারি এই সংস্থাটি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, কিট তৈরিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে মিথ্যাচার করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
নিজেদের উদ্ভাবিত করোনা কিটের নমুনা হস্তান্তর করতে গেল শনিবার আনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতিনিধি থাকবে না বলে আগেই জানিয়ে দেয ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা ওই কিট অনুমোদনের আগে অনুষ্ঠান আয়োজন না করতেও অনুরোধ করেছিল। পরে রবিবার সংবাদ সম্মলন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ওষুধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে।
সোমবার দুপুরে এ নিয়ে সচিবালয়ে ঔষুধ প্রসাশনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। কেন গণস্বাস্থ্যের অনুষ্ঠানে যায়নি তার ব্যাখ্যা দেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই সংবাদ সম্মেলনটি দেখেছেন। তিনি সেখানে আমাদের নামে নানা ধরণের অপপ্রচার করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন আমরা কি ঘুষ দিব? এখানে ঘুষের প্রসঙ্গ কেন আসবে। সম্মেলনে তিনি অযাচিতভাবে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে মানুষকে তথা প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি আমি প্রত্যাখ্যান করছি। আমি অনুরোধ করব, এ ধরনের অপপ্রচার যাতে না চালানো হয়।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি ঔষধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে জানিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘উনি বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আমাদের ওষুধ প্রশাসনকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। আমি অতি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের দেশের এই মুহূর্তে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা খুব দরকার। সবার, তাদেরও দরকার। গণস্বাস্থ্যের সহযোগিতা আমাদের দরকার। সবাই মিলে আমাদের সমস্যা সমাধান করতে হবে।’
গণস্বাস্থ্যের যে কিট তৈরি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশেই এ ধরণের কিটের অনুমোদন দেয়নি বলেও জানান ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক।
Leave a Reply