উখিয়া উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি রাইজিং কক্স’র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
#উখিয়া তথা ককসবাজার জেলার আপমর জনসাধারণের প্রতি জনাব অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর ♥ভালোবাসার আকুলতা ও করোনা মহামারীতে নিজের অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতির ??দুঃখপ্রকাশ এবং খুব শীগ্রই উখিয়ার মানুষের ✌?পাশে দাড়ানোর আকাঙ্খা নিচে হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
——————————————————————–
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
=====================
লাখো কোটি শুকরিয়া মহান আল্লাহ পাকের দরবারে। দু’জাহানের অন্তর্যামী, দয়াময় মহাপ্রভূ রাব্বে ক্কারিম এর শোকর গুজার করে শেষ করতে পারবো না তাঁর এক নিকৃষ্ট বান্দা আমি অধম।২০১৭ সালে জীবনের এক সংকটময় মুহূর্তে আমি যখন চরমভাবে অসুস্থ, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমার অবস্থান, চিকিৎসকেরাও যেখানে হতবিহ্বল ঠিক তখনই আমার সৃষ্টিকর্তা রাহমানুর রাহিম তাঁর রাহমতের চাদরে আমাকে আবৃত করে নেয় এবং আমাকে নেক হায়াত দান করেন।সুন্দর এই পৃথিবীতে আমার যে বিচরন এখনও, তা একমাত্র আমার মাবুদের অপার অনুগ্রহে এবং মানুষের দোয়ায়। মানুষের ভালোবাসা এবং দোয়া যে একজন মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও পাথেয় তার সাক্ষাৎ প্রমান আমি। নবজীবন নিয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা আমি এবং আমার সবটুকু অর্জন আসলেই সহজ সরল ও সাদা মনের সাধারণ মানুষ গুলোর নিরন্তর সমর্থন ও কায়মনোবাক্যে প্রার্থনার অনুপম দৃষ্টান্ত বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
সেই আমি করোনা নামক বিশ্বত্রাস মহামারীর মহাদুর্যোগে অসুস্থ ছিলাম প্রায় মাসের কাছাকাছি। একদিকে জটিল liver disease, অন্যদিকে কোমর ও ঘাড় থেকে ডান হাত পর্যন্ত ব্যাথাসহ জ্বালাপোড়ায় এক প্রকার শয্যাশায়ী ছিলাম বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায়।আর একদিকে দাঁতের ব্যাথার অসহনীয় যন্ত্রণাায় পাগলপারা অবস্থা।
এহেন দুঃসহ অবস্থায় কক্সবাজারে চিকিৎসা না পেয়ে চট্টগ্রাম এসে এখানেও কোন হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ হয় নাই।কোন ডাক্তার নাই।খোলা পাইনি পরিচিত থেরাপি সেন্টারগুলো।
এক আজব পরিস্থিতি যা বর্ণনাতীত।
এমতাবস্থায় lockdown এর অবরুদ্ধ অবস্থায় একটানা বিশ্রাম,গ্রামের বয়স্ক মুরুব্বিদের সনাতনী প্রাথমিক ব্যবস্হা অনুসরন সর্বোপরি বিরতিহীন পরিচর্যায় প্রায়ই নিরাময় লাভ করেছি মহামহিম করুনাময় খোদাওন্দ করিমের কুদরতে,সেই পূর্বের মতো।
আলহামদুলিল্লাহ।
বর্তমানে কিছু শারিরিক জটিলতা সত্বেও আমি চলাফেরা করতে সক্ষম, ইনশাআল্লাহ। এমতাবস্থায় আল্লাহর কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে আমি দ্রুততম সময়ে আমার প্রিয় জন্মভূমিতে পা রাখতে পারি এবং তাঁর কুদরতি চিকিৎসায় যে শেফা দান করেছেন তাতে যেন সুস্থ থাকতে পারি। আমিন।
তবে সবচাইতে পীড়াদায়ক যেটি আমার জন্য তাহলো এই বিপদের দিনে এলাকাবাসীর পাশে অবস্থান করতে না পারাটা। বস্তুতপক্ষে আলেমুল গায়েবই ভালো জানেন আমার মনের ম্রিয়মান অবস্থা উখিয়া তথা কক্সবাজার বাসীর জন্য। তবে আপনারা আল্লাহর ওয়াস্তে এটা বিশ্বাস রাখতে পারেন যে আমার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও প্রার্থনায় এবং মোনাজাতে আপনারা উখিয়া, কক্সবাজার তথা পুরো দেশবাসী ছিলেন এবং আছেন।তথাপি খোদা কি আমার উপর নারাজ ছিল এই দুঃসময়ে? নয়তো আমাকে দুরে থাকতে হলো কেন? আল্লাহ পাক আমাকে ক্ষমা করুন। খোদার হুকুমে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত অসুস্থতা এবং তৎজনিত অনুপস্থিতির জন্য নিঃশর্ত অনুকম্পা প্রার্থনা করছি আমার ভালবাসার প্রিয় উখিয়া বাসীর কাছে, যারা সুখেদুঃখে সবসময় আমার সাথে ছিলেন এবং আছেন।
আসুন আমরা সবাই সম্মিলিত মোনাজাতে শরিক হই, এক ও অদ্বিতীয় পরওয়ারদিগার বরাবর যাতে পৃথিবী নামক এই গ্রহে তাঁর সৃষ্ট প্রিয় বান্দা গুলো করোনা নামক মহামারি থেকে মুক্তিলাভ করে ও হেফাজতে থাকে।
অবিনাশী শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় কল্যানময় হোক সবার জীবন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি, আপনাদের
অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী
উখিয়া, কক্সবাজার।
Leave a Reply