মারজান চৌধুরী, উখিয়া : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো ঘোষণা করেছেন লকডাউন। এর মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী অধ্যুষিত জনপদ জেলা অন্যতম কক্সবাজার । এ জেলার উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে প্রায় বাস করছে ১১-১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
ব্যাপক জনসমাগম এই শিবিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে তার পরিণাম ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন মানছে না। এ নিয়ে শিবিরের মানুষজনের মধ্যে উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সরজমিন উখিয়ার জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৬-১৫ ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্প বাজারে প্রচুর রোহিঙ্গা সমাগম ও রোহিঙ্গা মালিকানাধীন দোকান খোলতে দেখা যায় । তাদের কাছে করোনার কোনো ভয় অথবা তেমন কোনো সচেতনতা নেই।
হামিদ হোসেন (২৬) নামে এক রোহিঙ্গা জানান, তিনি মাঝি ও মাইকে নিকট থেকে করোনা নামক ভাইরাসের কথাটি শুনেছেন। ক্যাম্পে ১৫-২০ দিন আগে মাইকিং করে ঘর থেকে বের না হতে বলেছিলেন। এরপর থেকে আর কোনো কিছু জানেন না তিনি।
ক্যাম্পের আগের মতই ত্রাণ ও গ্যাস সিলিন্ডার দিতে দেখা যায়। সিলিন্ডার নিতে আসা রোহিঙ্গা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা একজন আরেকজনের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সেবা সংস্থার লোকজনও তাদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন করছে না।
গোয়েন্দা সংস্থা সহ প্রশাসনের এত কড়াকড়ির মাঝেও রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে থাইংখালী,পালংখালী, টেকনাফ স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করছে রোহিঙ্গারা । তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো আতঙ্ক নেই। রোহিঙ্গাদের এমন আচরণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে স্থানীয়রা।
ক্যাম্প ১৬ চীপ মাঝি তাহের বলেন, করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে যেভাবে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে এই মাঝি জানান, রোহিঙ্গাদের মাঝে এসব বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কিন্তু ক্যাম্প প্রশাসন বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
Leave a Reply