১.
‘এ গলিটা ঘোর মিছে’
লক ডাউন হয়ে গেলে
সূর্যাস্ত নেমে আসে ঘরে ঘরে?
ভাইরাসের চাইতেও চঞ্চল মানুষের গতিবিধি
শহরে গ্রামে নগরমুখিনতায়
আইসোলেসন হয়ে গেলে
‘আকবর বাদশার সাথে হরিপদ কেরানীর’
কোনোই তফাত থাকে না
ইতরতম অণুজীব
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আমাদের ফুসফুস
ওয়াই ফাই খুলে নাও
ভালমন্দ আর কোনো খবরই নিতে পারছি না
২.
যেন আমি এক দ্বীপদেশে বন্দি
সবুজ বোতল হাতে দাঁড়িয়েছি
সমুদ্র পারে ডলফিনের নাচের নেশা চোখে মেখে
বোতল-বার্তা লিখব অবশিষ্ট পৃথিবীতে
যেখানে শোকাহত বন্ধুরা যে যার বিবরে বসে আছে
অগ্নিস্নানের আশায়
৩.
ছুটির দিন বিকেলবেলা
পরিপাটি যাবে বইয়ের দোকানে
তাক থেকে আমার বইটা নামিয়ে
দু চারটা কবিতায় হাঁটাহাঁটি করবে
তারপর রেখে দিবে যে কোনো তল্লাটে
কবিতার বই কেনার চাইতে ঢের ভাল
এক ডজন লেবু কিংবা কিছু প্যারাসিটামল
৪.
লকডাউন হয়ে এলে প্রতিবেশী গলি, আমরা যেনবা বাড়ির নম্বর ঝুলানো বিভিন্ন কবরে বসে আছি।
উনুন জ্বলছে। কতকাল আমাদের হাভাতেপনা সহ্য করবে তা বলা মুশকিল; কিংবা উনুন জ্বালিয়ে রাখতে পারব কতদিন!
দেখে যাচ্ছি রংগিন চিত্রমালা সম্বলিত আমাদের ফেসবুক একাউন্ট এখনো খোলা, অমরনাথের ব্যাটিংয়ের মতো ঠুকঠাক স্ট্যাটাস পড়ে, যদিও নতুন ছবি কম।
জ্যান্ত কবরে বসে বেশ সাহিত্য হচ্ছে। কবিতার বইগুলো কেমন সারবত্তাহীন লাগে, শান্তি দিল কই মহামারিকালে! বরং নিজেই লিখছি দু একটা কবিতা সমারূঢ় বন্দোবস্তে।
Leave a Reply