তোফায়েল আহমদ : কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ আদায় অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র রোহিঙ্গার দল ৬ জন গ্রামবাসীকে অপহরণ করে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়।
পরে গ্রামবাসীদের নিকট থেকে এক বস্তা চালসহ অন্যান্য জিনিসের বদলে ৩ জনকে ছেড়ে দেয়। অপর তিনজনকে নিয়ে যায়।
বুধবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখাকালীন সময়েও অপহৃত তিন গ্রামাবাসীকে ছেড়ে দেয়নি সশস্ত্র রোহিঙ্গারা।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হোয়াইক্যং মিনাবাজার পশ্চিম ঘোনার ক্ষেতখামার থেকে সশস্ত্র রোহিঙ্গারা পাহাড় থেকে নেমে এসে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণকারী রোহিঙ্গারা টেকনাফের পাহাড়ে অবস্থানরত সশস্ত্র রোহিঙ্গা আবদুল হাকিম ডাকাত বাহিনীর সদস্য বলে অপহৃতরা মনে করছেন। ক্ষেত পাহারা দেয়াকালীন সময়ে পাহাড় থেকে ৬ জনের সশস্ত্র দলটি নেমেই কৃষক আবুল হাশেম ও তার দুই পুত্র জামাল এবং রিয়াজুদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র শাহেদ (২৫), মৌলভী আবুল কাছিমের পুত্র আকতারুল্লাহ (২৪) ও মৃত মোহাম্মদ কাশেমের পুত্র ইদ্রিসকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে অপহরণকারিরা একই রাতে এক বস্তা চালসহ অন্যান্য পণ্যের বিনিময়ে আবুল হাশেমসহ তার দুই পুত্রকে ছেড়ে দিলেও অপর তিনজনকে গহীন অরণ্যে অস্ত্রধারীরা নিয়ে গেছে। ফিরে আসা অপহৃতরা জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যেকের কাছেই অস্ত্র রয়েছে। বুধবার বিকালের দিকে অপহরণকারীরা অপহৃত শাহেদের মোবাইল নিয়ে তার পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। টাকা না দিলে শাহেদকে খুন করার হমকি প্রদান করে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি হারুন সিকদার জানিয়েছেন, আমরা উখিয়া-টেকনাফের বাসিন্দারা সংখ্যালঘু হবার কারণে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। বিশেষ করে পাহাড়ে ঘাঁটি করে অবস্থানরত সশস্ত্র রোহিঙ্গার কারণে আমরা প্রতিনিয়ত শঙ্কিত জীবন অতিবাহিত করছি।
এ বিষয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মশিউর জানান, তিনি অপহরণের বিষয়টি শুনেছেন এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কাজ করছেন।
Leave a Reply