অরণ্য আপন
তুমি তো বলছ
ভিতর থেকে কেউ দরজা খুলে দিক
আমার তো ভিতরই নেই, সব বাহির
আমার দরজা উদোম করে যাওয়ার মানুষ নেই
ফিরিয়ে আসারও মানুষ নেই
না জীবন আমাকে বোঝে
না মৃত্যু আমাকে শোনে
তুমি কোথায় আছ
জীবনে, না মরণে?
আমার জানার দরকার নেই
আমি এতটা বোকা যে
নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছি
তবু আমার চিন্তা নেই
কোনো গাছের ডাল পাখিকে ধরে রাখতে পারে না
তুমিও আমাকে পারবে না
ভালোবাসা একটা গাছের ডাল
তুমি যদি না দাও দেব উড়াল
তুমি বল আমাকে ছেড়ে দাও পাগলি!
পাখিকে সোনার খাঁচা দিলেও সে আকাশ পছন্দ করবে
তুমি চলে গেছ তো কি হয়েছে
মানুষ এখনও তোমার কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করে
ভুলে যাও কেন
বৃষ্টি শুধু জমিনকে নয় আকাশকেও সাফ করে
তুমি তো সেই বৃষ্টি
দুঃখেও আস, সুখেও আস
কেউ চলে গেলে পৃথিবী একা হয়ে যায় না
তুমি কেন হবে
আমি তো তোমাকে পৃথিবীই বানিয়েছিলাম
তোমার সব কথাই আমার মনে থাকে
শুধু তোমার চলে যাওয়ার কথা মনে থাকে না
এখনও আমি খেতে বসলে বলি
জুহিতা, নুন দিয়ে যাও তো!
আমি তাকে চলে যেতে বারণ করি আপন!
কারণ আমি জানি
সে চলে গেলে আমার চেয়ে বেশি একা হয়ে যাবে
সে ভালোবাসা না দিয়ে বিখ্যাত হয়ে গেল আপন!
আমি ভালোবাসা দিয়ে হতে পারলাম না
সে খুন করে বিখ্যাত হয়ে গেল আপন!
আমি শহিদ হয়ে হতে পারলাম না
সে ফরজ আদায় না করে জান্নাত আশা করে
আর আমি তার ফরজ আদায় করে দোজখে গেলাম
ভালোবাসা তো ফরজ ছিল!
তুমি বলো আমাকে যেতে দাও
কেমনে তোমাকে যেতে দিই বলো
আমি তো তোমাকে ভিতরে তালা দিয়ে
চাবি হারিয়ে ফেলেছি
হৃদয়ও জেলখানা যখন বের হওয়া যায় না
তুমি ভালোবাস না
অথচ বন্দি করে রেখেছ
-খামারকান্দি, বগুড়া।
Leave a Reply