একটা ক্ষুদ্র অনুজীব চোখে দেখা যায় না যারে
এক নিমিষে কেমন করে বিশ্ব লাগাম ধরে নাড়ে!
২.
ঘরে অভাব বাইরে করোনা
গরীবি জীবন কেন মরো না!
৩.
নাটুকে জীবন পর্দার অন্তরালে যে সত্য লুকিয়ে রয়
দর্শক-সারিতে থেকে অভিনয় দেখে মর্মার্থ বুঝা যায়?
৪.
ভাষা আছে তবু বোবা হয়ে গেছে মুখ
সাহসহীন ভীরু মনের বন্ধ রয়েছে চোখ!
৫.
অন্ধকার বিছিয়ে রেখে ছুটে চলো আলোর প্রত্যাশায়!
কি লাভ খোঁজে আলো বলো যদি দিগন্তে ঐ সূর্য ডুবে যায়।
৬.
এই গভীর রাত আধারে ঢাকলে যদি মুখ মেলে ধরো মাটির প্রদীপ
যদি না চিনো অন্ধকারে এসো তবে পথের সাথী হয়ে মাপবো চলার জরিপ
৭.
তোমার দু’হাতে আঁকা আছে যে আঁকিবুকি সীমারেখা
তা দিয়েই তুমি বিশ্ব ধরো তুলে, তাতেই তোমার ভাগ্য লেখা৷
৮.
ভুল অক্ষরে লেখা ছিল গুপ্ত কুঠির স্বরলিপি
হায়! অমূল্য ধন-ভাণ্ডার তার খুললো না ছিপি।
৯.
আমার যা আছে তা কিন্তু আমি নই
আমি যা তাই আমি, আমার আধেক তুই!
১০
চারপাশে অনেক থাকার ভীড়ে আমিই শুধু নেই
হারিয়ে নিজেকে কবে হারালাম এই জীবনের খেই!
১১.
সম্পর্কের গভীরতায় গড়ে ওঠে বন্ধন জন্মে অধিকারবোধ
কমে দূরত্ব, ক্রমে রক্তের প্রতি অধিকারও হারিয়ে যায় বোধ।
১২.
গন্তব্য ভুলে পথই যদি হয় আরাধ্য তোমার,
তবে পথে পরে থেকে কান্না ছাড়া থাকবে গত্যন্তর?
১৩.
‘মানুষ’ বইতে মনটা কেন বারে বারে বিদ্ধ হয়?
ঘুচিয়ে দিতে চায় কি তবে মানুষ নামের পরিচয়?
১৪.
তোমার বিছানো পথে হেঁটে আমাকে করেছি আবিষ্কার,
এই আমাতে থাকবে শুধুই তোমার অধিকার।
১৫.
হঠাৎ করেই চোখ আটকে গেছে গোধূলী আকাশ-আঙ্গিনায়
মুগ্ধতা রাশি রাশি ছোঁয়ে দিল মন, ভালো লাগা আবেশে হৃদয় হারায়!
১৬.
চোখের জল নোনতা বলেই কি এতটা বিস্বাদ?
একফোঁটা চেখে দেখে বলতে পারো এতে আছে কতটা খাঁদ?
১৭.
ভালো মন্দ ভেদ বুঝে না, তাদের অন্ধ চোখের জ্যোতি
কিছু মানুষ আছে এমন, না বুঝেই করে নিজের ক্ষতি
১৮.
সারা জীবনের সব সঞ্চয় শুধু তোমারেই দিয়ে গেল যারা
জীবন সূর্য ডুবার কালে কি দিলে তাদের অবহেলা ছাড়া?
১৯.
ঠুনকো আবেগ ছোঁয়ে যেই ভালোবাসা হয়,
আবেগ ফুরালেই সেই ভালোবাসার ক্ষয়!
২০.
ভালো না লাগা মনের খেয়ালী অসুখ মাত্র,
মনকে ভালো লাগাতে হয়; ভরে মনের পাত্র।
(চলবে…)
পড়ুন-
রওনক জাহানের অনু কবিতা
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
Leave a Reply