মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : চকরিয়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালটি ৫ জন রোগী নিয়ে আজ বুধবার চালু করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্ত ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, ৫ এপ্রিল শনাক্ত হওয়া চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ৫ মে দিবাগত রাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪ জন রোগীকে ৬ মে বুধবার বিকেলে হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ৩ জনই একই পরিবারের সদস্য। এ ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই মহিলা। তাদের বাড়ি চকরিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ফুলতলায়।
৫ মে চকরিয়ায় শনাক্ত হওয়া ৯ করোনা রোগীর একজন কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা নয়। তিনি বান্দরবানের লামা উপজেলার বাসিন্দা। বান্দরবান সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং চন্দনাইশে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত। তিনি চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের মাধ্যমে স্যাম্পল টেস্টে দেওয়ায় তাকে প্রাথমিকভাবে চকরিয়া উপজেলার রোগী হিসাবে গণ্য করা হয়েছিলো। লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে উক্ত রোগীর বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ। এই রোগী কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা না হওয়ায় কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৪৯ জন।
৫মে করোনা ভাইরাস ১শনাক্ত হওয়া চকরিয়ার অপর ৩ জন রোগী নিজ নিজ বাড়িতে উপজেলা স্বাস্থ্য টিমের তত্বাবধানে সেল্ফ আইসোলেশনে থাকছেন বলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ নিশ্চিত করেছেন।
অপর একটি সুত্র জানিয়েছে, ৬ মে চালু হওয়া চকরিয়া ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালটি প্রচুর জনবল ও অবকাঠামো গত বিবিধ সমস্যা রয়েছে।
এদিকে, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খালেদ হোসাইন’কে আহবায়ক এবং ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার মঈন উদ্দিন মোরশেদ’কে সদস্য সচিব করে চকরিয়া ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ।
Leave a Reply