শফিকা আকতার ছিদ্দিকা
একলা আছি বসে
কষ্ট সব পড়ছে বারেবারে খসে,
চলতে চায়নাতো আর মসি,
তোমার কথায় বারেবারে তবুও হাসি।
সারাদিন গল্প আর ভিডিও আড্ডা,
দখিনা হাওয়ায় শরীর হতে চায়না ঠান্ডা।
সময় তবু কাটিতে চাহেনা
যায়না মনের বেদনা,
বাহিরে যেতে না পেরে আসে কান্না।
করোনা করেছে বিশ্বে যবে থেকে ভর
বন্ধু,স্বজন সবাই যে হয়ে গেলো পর,
হলেম যেন সবাই ধর্মান্ধ আর স্বার্থপর
অসামাজিকতাই জনজীবনে হল ভরপুর।
কারো নয়ন পানে কেউ চাইবো না
করেছি যেন সেই শপথ,
বলেনা কেউ আসতে আছি নিজ ধ্যানে
রুদ্ধ হলো যে মেশার পথ।
চমকে উঠি যাচ্ছি ভুলে বিভিন্ন বার
জানি হচ্ছে সবার এই ভুল,
কখনো উল্টাপাল্টা হচ্ছে তারিখ,
কাজ ছাড়া সব কিছুতেই গন্ডগোল।
ভাবছো বসে গৃহের কাজতো অনেক
একই রকম কাজে নষ্ট হয় আসক্তি,
অফুরন্ত কাজের ভান্ডার এই গৃহাস্থলি
শেষ না হওয়ায় আসে শুধু বিরক্তি।
ধুলো মুছলাম দুই ঘন্টা পরে আবার ধুলো,
ঝাড়ু দিলাম
ঘন্টাখানেক পরে আবার ধুলো ময়লা আসলো
যদিও এ কাজের নেই কারো কাছে কোন দাম।
ধুয়ে গেলাম বাসন পেয়ালা কত ডেকসি
সবাই খেলো চা নাস্তা হলো আরো বেশী
এত এত খাওয়া কাজ বেড়ে যায় আরশিতে,
অনভিজ্ঞ হলে এত কাজে হয়ে পড়ে ভিত।
ঘুরে ঘুরে যতবার আসে খাওয়ার পালা
ততবারই কাজ বাড়ায় শুধু ডালপালা
তোমরা বল এত কাজ কিসের তরে
বুঝো কি?
তুমি যে হাঁটতে নিয়ে আসো ধুলো ঘরে।
কাজের আর্থিক মূল্য না থাকলে যা হয়,
ঘরের কাজের হাজার ঢেউ
তোমরা যারা বুঝতে চাওনা
তারা আসলে পাও এই কাজকে ভয়।
তাই ভালোবাসা প্রকাশেনা ঘরের কাজে
করে যাও কাজ নাই বলে অবিরত ঘেউঘেউ।
হাজারো কাজে তার কোন স্বাদ না মিটে,
মৌনমুখে থাকতে থাকতে গৃহিনী হয় খিটখিটে।
খাও, খাও আর খাও বানাও আরো পিঠা
কখনো প্রতিবাদে ছাড়তে হয় কারো স্বামীর ভিটা।
এত এত শ্রাবণ প্রতিদিন করে যায় খেলা,
অব্যক্ত কথায় কেটে যায় গৃহিনীর বেলা অবেলা।
আমরা করি কাজ, করি তাদের সহযোগিতা,
ভালো কাজেই চলো সবাই করি প্রতিযোগিতা।
তিক্ততায় ভেঙ্গে যাচ্ছে কত ভালোবাসার খেয়া,
ভালোবাসি পরস্পরে দিই মায়ার ছায়া
চলো সবাই পরস্পরে করি সুসম্পর্কের চাষ,
ধনী গরিব সবাই মিলে সুখে থাকি বারোমাস।
Leave a Reply