স্কাই ইজ দ্য লিমিট
ক.
চোখে— কিংবদন্তী জোড়া শোক প্রসারিত হচ্ছে। অন্ধকার রাস্তা শেষে সাঁকো ধরে এগিয়ে আসছো তুমি। শরীরে মেখে আছো অঘ্রান প্রজাতির ম্রিয়মাণ কোলাহল। বাড়ি ফেরা রাস্তায় হাজার বার হেঁটে যাওয়ার পর মনে হলো— নিয়ম করে বাড়ি ফিরছে জীবন— অথচ দুইশ বছর আগে আমার পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। আমার ভেতর থেকে আমারে বের করে নেয় তোমার সকরুণ হাত। অভীক হিজল তলে লুকিয়ে রাখি দীর্ঘশ্বাসের শোণিত অস্থিরতা— বুকের ভেতর প্রবাসী দুঃখ গুলো সেতার বাজায়— কেঁপে কেঁপে উঠে নিঃশব্দ নিস্তেজ করুণ সুর। বুকের ভেতর আকাশ আকাশ লাগে— বিহ্বল শূন্য লাগে।
থাকো ম্যারি— এবার আটকে থাকো পৃথিবীর আয়ুষ্কাল ধরে যৌবন নিঙাড়ি।
খ.
দীর্ঘ রোদমাখা সকালে শীত কুয়াশার হিম চিৎকার শোনো? শোনো কী আততায়ী চোখ খুন করা রাতের বিস্ময় নিঃশ্বাস? মানুষের পোড়া গন্ধ— বাতাস বয়ে যাওয়া অমৃত নেশার ঘোর? শোনো না? তবে কী প্রাচীন করোটির মত লীন হচ্ছে মানুষের নাক! অনুপ্রবেশ জালে আটকা পড়ছে পৃথিবীর সমস্ত গাঢ় প্রেম। নদীর বুকে লিখে দাও আমার মৃত্যু শোকের পরবর্তী উচ্ছ্বাস। ফসলি জমিনে হলুদ ধানের তোড়ায় আমার মত দুটি অসহায় পাখি উড়ে আসে। আজন্ম ক্ষত শুকালে কোটরের দরজা খুলে রেখো—
শোনো ম্যারি… রক্তের উপর হেঁটে এবার তুমিও মিশে যাও নতুন সাংসারিক অট্টহাসির জোরে।
গ.
প্রত্যেক নিশ্বাসে জোর আওয়াজ তুলে জানান দিচ্ছো— বাইবেলে একমাত্র আমি ছাড়া আর কোন পাপ নেই। বটবৃক্ষ শোভিত শেকড়ের আনছ ভ্রমণ করে এসে দেখো— নির্লজ্জ বিকলাঙ্গ বিশ্রী পাখিটির সাথে তুমুল সখ্যতা। দেয়াল তুলে দিচ্ছো উদগ্রীব ভাগাড়ে, শূন্য হাতের তালুতে জড় হচ্ছে আকাশ। অন্ধকার গলির ভেতর আমি খুঁজি নীল হাঁড়ি ভর্তি লুকানো মানুষের দুরূহ হৃদ।
মৃত্যুর মুখোমুখি বিঁধে একটা বর্শা তুমুল।
বন্ধ ঘরের চিৎকার শুনে কেঁদে উঠে বোবা বিকেল— ঘনঘন মেয়েলী নিঃশ্বাস কার যেনো— অর্ধস্ফুট নিশীথ হাহাকার; মিউজিক রুমে এক শরীরে অন্য শরীর মেশানোর বীভৎস আকুতিরা এমন হয়—
“উপরে উঠো আরো উপরে
— কত উপরে?
স্কাই ইজ দ্য লিমিট! স্কাই ইজ দ্য লিমিট!”
Leave a Reply