আসমা চৌধুরী
দর্শক
একটা বসার জায়গা পেলেই বসে যাই
সামনে-পেছনে আকাশ,ঘাস
রাস্তা ধরে কোলাহল
সবাই যে যার মতো যায়
নিচেরপাটি দাঁতের মতো সামান্য দেখা যায়
মানুষের ভেতর,
আড়াল জমা হচ্ছে
দূরে একটা কাটা ঘুড়ি গোল খাচ্ছে বাতাসে
দেখছি শব্দহীন…
সিয়ামুল হায়াত সৈকত
মেটাফেরাস
শামুকের বাক্সে ঈষৎ রাত্রি জমা আছে।
পকেটে কাঁটাঠোঁট। নাকের পোলিশ।
তোমাকে ছুঁতে চাইলে স্বাক্ষর, চিবুকটিকে!
হাত যখন সত্যি ডানাজাপ্টে যায়,
প্রশ্নবোধক পাতা আকাশের লীন ধ’রে বসে-
আমি তোমাকেই প্রশ্ন করি।
বিকেল একটি পত্রলেখা গোলাপ। ফুঁটতে চাইবে।
হাফিজ রহমান
একটা জনম দিন
প্রেয়সী জনম ভুলে দেখে বিক্ষুব্ধ বাতাস
আজ এই মহামারী ভোরে
তোমার মলিন ছবি দেখবো কি করে!
কৃষ্ণচূড়া ছেয়ে যায় বৈশাখী মেঘ
ওলটপালট ওড়ে সাগরের রেণু
সাগর পেরোলেই সন্দ্বীপ, অসীম প্লাবন,
যতই দুর্যোগ হোক খুঁজে নেবো সেই চাঁদমুখ!
জন্মতিথির মত দারুণ সময় কিছু
রেখেছি তুলে লাল কিছু কৃষ্ণচুড়ায়
নিশ্ছিদ্র বাঁশঝাড়ের প্রগাঢ় ছায়ার নীচে।
ভয়ংকর শব্দ তুলে কালসাপিনী পেরিয়ে গেলে
সোঁদা মাটির বুকে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন বিছানায়
তোমার হাত ধরে বসে চোখে রেখে চোখ
থেমে গেলে সময়ের শেষ প্রহর
পৃথিবী থমকে যাবে
নতুন ভূবনে হেঁটে যাব
আমাদের কথা হয়ে আছে…
আতিকুর রহমান হিমু
রূপকথা-১০
কোন গল্প নেই তবু গোপন শব্দের গভীরে ডুবে যাই। একরঙা সুরের বুদবুদ সন্ধ্যাজলে। অতলে রঙমশাল, অস্তগামী পাখিদের বিষণ্নতার রিহার্সাল সাঁঝবাতি ঘিরে। রূপকথায় লুকিয়েছি মুখ; তবু অশ্রুময়ী বেহালা রটে যায় শহরে।
[প্রকাশিত হলো ‘এ সপ্তাহের পদাবলি’র প্রথম কিস্তি। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে এই বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশিত হবে। আপনারা রাইজিংকক্সের সাহিত্য বিভাগের মেইলে লেখা পাঠাতে পারেন। ইমেইলঃ siamul.hayat@gmail.com]
Leave a Reply