এম. সালাহ উদ্দিন আকাশ, রাইজিং কক্স : মরণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) এর ভয়াল থাবা কাবু করেছে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে। সেই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। ইতোমধ্যে দেশের অনেকে কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, আর আক্রান্ত অনেকে সুস্থ হওয়ার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। সাথে সাথে অনেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের রামু ডেডিকেটেড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন উখিয়ার আরও ২ করোনা রোগী।
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রনজন বড়ুয়া রাজন রাইজিং কক্স কে জানান, রামু ডেডিকেটেড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন
উপজেলার জালিয়াপালংয়ের সোনারপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিউল করিমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৫০) ও উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা কর্মী পাইমং মারমা (২৫)।
রামুর ডেডিকেটেড হাসপাতালের সদস্য সচিব ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবার (১২ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে তাদের ২য় দফা রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে। এর আগেও একবার তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি জানান, জাতীয় গাইডলাইন অনুযায়ী এই করোনা রোগীদের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় পর দুইবার নমুনা টেষ্টে নেগেটিভ এসেছে।
রামুর ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও রামু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়ালিউর রহমান। তিনি করোনা পজিটিভ রোগীদের ২য় দফা নেগেটিভ আসায় অনেক আনন্দিত হয়েছেন।
তার মতে, বাড়িতে পৌঁছে তাদের আরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই ১৪ দিন শেষ হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো মানুষের সাথে মিশতে পারবেন।
ডাঃ রনজন বড়ুয়া রাজন আরো জানান, ১২ মে পর্যন্ত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনা পরীক্ষার জন্য উখিয়া উপজেলা হতে ৩১৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ফল এসেছে ২৬৪ জনের। এতে ৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাস জীবাণু শনাক্ত হয়েছে (পজেটিভ) এবং ২৫৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস জীবাণু পাওয়া যায়নি (নেগেটিভ)। আরও পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান আছে ৫৫ জনের নমুনা।
উপজেলার করোনা শনাক্ত ৯ জনের মধ্যে বর্তমানে রামু আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ১ জন। উখিয়া হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ২জন। কক্সবাজার পৌরসভাস্থ নিজ বাসায় হোম আইসোলেশনে আছেন ১ জন। মোট চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন। এছাড়াও ইতিমধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নের হাজির পাড়া এলাকার একই পরিবারের ৩ জন (বানু বিবির পরিবার) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এবং সর্বশেষ মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরও দুইজন। মোট ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
Leave a Reply