ডাহুক পাখির ডিম
ধানের ক্ষেতে ডিম পেড়েছে ডাহুক পাখি
কৃষক বলে এ ডিম এখন কোথায় রাখি !
হঠাৎ কৃষক এমন বুদ্ধি আটল না
অবশেষে কিছুটা ধান কাটল না।
পাখির এবার কান্না একটু থামল
সন্ধ্যা হলে নীড়ে পাখি নামল-
কদিন পরে বাচ্চা নিয়ে উড়ল পাখি আকাশে
এখন তারা ঘুরে বেড়ায় সারা বাংলার বাতাসে।
গামপাড়া
কেউ কখনো আম না পেড়ে
দুপুর রোদে জাম পাড়ি,
আমরা সবাই দুষ্টুগুলো
বোশেখ মাসে আমপাড়ি।
ছেলেবেলার মধুর স্মৃতি যায় না ভোলা
যায় না ভোলা আমপাড়া,
আমের গাছে ভরা ছিল আমাদের এই
ভিটেবাড়িÑ গামপাড়া।
কমদ আলি
সকালে খায় একশ রুটি, একশ ডিম ও ভাজি লাগে এক কড়াই
পানি খায় সে কলস ভরে, বালতিতে চা- নিজের করে বেশ বড়াই।
রাত্রিরে খায় আস্ত খাসি, কাবাব ভুনাÑ মাছের মাথা একশ
শেষ করেছে বাবার সবই, টাকা-পয়সা- ধন-ধৌলতের বাক্স।
২.
এখন শুধু নদীর কাছে ফিরে এসে, নদী দেখে চোখ দিয়ে
পায় না ভেবে কেমন করে নদীর ভেতর ঝাঁপ দেবে সে পেট নিয়ে।
এমন জীবন চায় না পেটুক কদম আলি একদিনও না, একটুও
পারে না সে এখন খেতে দুইটা রুটি, একটা ভাজি- কেকটুও…
ঘুঘু
কখনো খায় পোকামাকড়, লতা-পাতা, কখনো খায় কেলাটা
ঘুঘু পাখি ঘু ঘু করে ঘুরছে সারা দুপুর কিংবা বেলাটা।
দুজন মিলে ঘুরতে থাকে সন্ধ্যা-সকাল, বন থেকে বনবাদাড়ে
কখনো বা খাবার খোঁজে, উড়তে থাকে রাতের গভীর আঁধারে।
এমনি করে ঘুঘুরা সব বনকে করে সবুজ এবং বাহারি
ঘুঘুর মতো ঘুরব বনে, পাহাড়-জঙ্গলÑ আমরা হবো পাহাড়ি।