কালাম সমাচার
বরের নামও কালাম ছিল
কিন্তু এ বর কালাম না,
বিয়ে বাড়ি এখন দেখি
কালাম নিয়ে তুলকালাম।
বিয়ে হলো ভুল কালামের
ঝগড়া ছাড়া স্বস্তিতে,
কালাম এখন সুখে আছেন
ইস্টিশনের বস্তিতে।
২.
হঠাৎ দেখি মাথা খারাপ
ঢুকল ঘরে মূল কালাম,
নিজেই তখন নিজের পিঠে
অল্পকিছু চুলকালাম।
আর কিছু না, শুরু হলো
বউ নিয়ে ফের তুলকালাম,
কোনো কিছু দিচ্ছে না ছাড়
দস্যি ছেলে মূল কালাম।
রিকশাওয়ালা
ক.
গরিব নিয়ে খেলাখেলি- দেশের এখন দেখ খেলা
রোদে পুড়ে, ঘামে ঘেমে খাবার জোটে একবেলা।
খ.
সারাটা দিন রোডে থেকে প্যালে মারে রিকশার
ভাঙা রোডে ঝাঁকি খেলে ‘শুয়ার’ বলে বিগ স্যার।
গ.
বৃষ্টি এলে ভিজতে থাকে- প্যাসেঞ্জারে শুকনা
ওদের থাকে শূন্য খাঁচা-ওটা ওদের বুক না।
ঘ.
কেউ বা আবার ঘণ্টা ধরে ঘুরতে থাকে শহরে
ভাঙতি তো নাই, একশো টাকা আইন্না দিমু- বহরে।
ঙ.
নেতার পোলা, হ্যাইজাকারে চাক্কু ধরে- সব দে
এক্কেবারে সোজা যাবি, আওয়াজ ছাড়া শব্দে।
চ.
এই শহরের মানুষগুলা সমাজ ছাড়া-ব্রেণী
দেশের সেবা ছাইড়্যা এখন খোঁজে শুধু শ্রেণি।
কাউ
Before মানে আগে, after মানে পরে- এখন অর্থ now
রাখাল ছেলে খুব বেশি না, চারটা ছিল Cow.
Oh! my baby listen to me
Don’t cast stone to the bee.
Apple রেখে আর খেও না পেট ভরে ওই কাউ?
প্রেমের জন্য
একটুখানি প্রেমের জন্য বাড়ি গাড়ি
টাকা-পয়সা সব রেখেছি জোমারে,
হালের গরু, মাছের ঘের আর
চরের জমি সব দিয়েছি সোমারে…
একটুখানি প্রেমের জন্য মোবাইল এবং
সাইকেল-ঘড়ি তাও দিয়েছি জোমারে,
পুকুর দুটো, ভিটে-বাড়িÑ
ধানের জমি সব দিয়েছি সোমারে…
একটুখানি প্রেমের জন্য মায়ের নোলক
বাবার শাল ও গামছা দিছি জোমারে,
ভাবির শাড়ি, বোনের চুড়ি
নিজের কইলজা সব দিয়েছি সোমারে…
এখন আমার আর কিছু নাইÑ
নিঃস্ব আমি, শূন্য আমার গোলারে;
বাকি আছে পাগল হওয়া
পাগল আমিÑ পাছা আমার খোলারে !
করোনার পর
বিশ্ব আবার মন্দার মুখে
দুঃখ মানুষ পাইতাছে,
এই পৃথিবী নতুন করে
গহিন সাগর বাইতাছে।
জঠর জ্বালায় ভিমড়ি খাইয়া
পুকুরে কেউ নাইতাছে,
খাবার তো নাই গরিব ঘরে
ক্যামনে মানুষ খাইতাছে?
২.
ঘর ছেড়ে ভাই মানুষ-গরু
যার যেখানে যাইতাছে,
কিছু মানুষ দিশাহারা
বিপদ বুঝি আইতাছেÑ
অনেকে ভাই বদলে গিয়ে
বদলের গীত গাইতাছে,
করোনার পর বিশ্বে সবাই
নতুন কিছু চাইতাছে।
লোকটা-২
কাজের কথা বললে তারে পড়ত ভেঙে মাথায় বাজ
ভুঁড়ির জন্য পারত না সে কাজের মধ্যে অনেক কাজ।
বলত বাবায়, কয়টা আছে গাধার ঘরে
তুই শুধু মোর গাধা গোণ,
রাতের খাবার আস্ত খাশি, দশটা মোরগ
দুধ লাগে তার আধা মোণ-
হাজার খেলেও দুপুরবেলা
খাবেন তিনি জলপাই তেল
আম না খেয়ে লোকটা খেত
প্রতিদিনই একশ বেল।
কিন্তু লোকটা ভুঁড়ি নিয়ে
হাঁটত নদী, সাগর পাড়Ñ
ভুঁড়িটাতে তেল মাখিয়ে
সারাটা দিন করত ধার।
এমনি করে লোকটা একদিন তুলল পটোল নদীর ধারে
কে নেবে আর কেমন করে, গোর হলো তার নদীর পাড়ে।
তোদেন জন্য
(রাফে রাইন ও মুবাশ্বির মুবিন)
শিশির হলো ঘাসের কোলে মিষ্টি শুভাশিস
রোদের কণা সঙ্গে তোরা একটু মেখে নিসÑ
রোদের কণা দিবে তোদের প্রফুল্ল এক দেশ
জীবন হবে অনেক বড় আহা বি বেশ বেশ।
মিথ্যে কথা রাখিস না রে তোদের কোনো বায়নাতে
ফুলের হাসি নীল নদীটা রাখিস তোরা আয়নাতে।
রাখিস তোরা সত্যটাকে নিত্য ভোরে চারপাশে
জীবন হবে ফুলের মতো- নরম তুলো কারপাশে।
মেঘের সিঁড়ি
মেঘের দেশে যাচ্ছি আমি আবার হবে দেখা
শরৎকালের আকাশ যেনো মেঘরাঙানো রেখা;
মেঘের সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে যাবো আমি দূরে
স্বপ্নসুরে বলব কথা মেঘ-আকাশে উড়ে।
শরৎকালের আকাশটাতে মেঘের খেলা চলে
তুলো তুলো মেঘগুলো সব মেঘের কথা বলে;
রৌদ্রঝরা পাখির সুরে মেঘ বলে যায়Ñ দ্যাখো
কাশফুলের ওই নরম ছোঁয়া একটু আদর মাখো।
মেঘ শেখালো ফুলের নদী আসবে মেঘের পরে
নিত্য সকাল, স্বপ্ন-সবুজ থাকবে থরে থরে;
শরৎকালের শিউলিমালা দারুণ সুখের দিন
মেঘের কাছে আমার এমন অনেক অনেক ঋণ।
মেঘ শেখালো সরল পথ আর মানুষ হওয়ার দিশা
চারপাশে তোর জমাট বাঁধা ঝলমলে রোদ মিশা।