1. kalamazad28@gmail.com : risingcox.com : Rising Cox
  2. msalahuddin.ctg@gmail.com : RisingCox :
  3. engg.robel@gmail.com : risingcoxbd :
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৪ Time View
ফাইল ছবি

মুফতি রেজাউল হক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরি দ্বিতীয় সনের সতেরোই রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই ‘বদরযুদ্ধ’।

তাওহিদ-একত্ববাদের বার্তাবাহী প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের শশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি। এক পক্ষ অর্থাৎ আল্লাহর নবির (সা.) সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন প্রায় নিরস্ত্র মুজাহিদ।

অপরপক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জেহেলের নেতৃত্বে ছিল এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব রকমের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্র-শস্ত্রহীন ইমানদারদের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন।

সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক অন্যরকম ইতিহাস রচিত হয় যা যুগ যুগ পর্যন্ত এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান অপমান আল্লাহর হাতে।

এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তারা সংখ্যায় বা সম্পদে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন।

পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও প্রচুর সৈন্য সামন্তের বহরে সুসজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবি (সা.) দোয়া করেছিলেন, হে আল্লাহ, তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এই ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূলে কারিম (সা.) এর দোয়া কবুল করেছিলেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বাহ্যিক উপায় উপকরণের তুচ্ছতা। তাই নিরস্ত্র মুষ্টিময় মুজাহিদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হলো ৭০ জন। বন্দি হয় আরও ৭০ জন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন।

যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অভাবনীয়। কিন্তু তা ছিল আল্লাহর কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইমানদারদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছরে যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-‘যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এ জন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে।

আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদেরকে নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ।’ (সূরা হজ ৩৭)। অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবি (সা.) বদর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতি বছর সতেরোই রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করেন।

লেখক : প্রিন্সিপাল, দারুল উলুম ঢাকা, মিরপুর ১৩, ইসলামি চিন্তাবিদ

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Rising Cox
Theme Customization By NewsSun