টেকনাফ প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের অদূরে এবং টেকনাফের জালিয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ইয়াবাসহ ৯ জন কারবারিকে আটক করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে ৬ জন মিয়ানমারের, ২ জন রোহিঙ্গা ও ১ জন বাংলাদেশী নাগরিক। টানা দুইদিনের এই অভিযান শেষ হয় বৃহস্পতিবার সকালে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, গভীর সমুদ্র ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান পাচারের খবর পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালানো হয়। টানা দুইদিন সাগরে অবস্থান করে চালানটি জব্দ করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাৎক্ষণিক র্যাবের আরেকটি টিম টেকনাফ জালিয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে হুন্ডি ব্যবসায়ী জিয়াবুলকে আটক করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ৯জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন,টেকনাফ ২৬ নং নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত জাফর আমানের আলী উল্লা (৫০),টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া ওসমান গণির ছেলে জিয়াবুল হোসেন(২১), জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সি ব্লকের, ক্যাম্প সি-৪ এর মৃত ফজল আহম্মেদের ছেলে আবু তাহের (৪০),মায়ানমার আকিয়াব জেলার মেহেরকুল এলাকার মোঃ শফিকের ছেলে মোঃ ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩),আমিন হোসেনের ছেলে এনামুল হাছান (২০),হাফেজ আহম্মদের ছেলো নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২১),সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে সাদেক (২২)।
চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে সাগরপথে ইয়াবার চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছে এবং হুন্ডির মাধ্যমে এই চক্রের টাকা লেনদেন করতেন জিয়াবুল বলে জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
কক্সবাজারের মিয়ানমার থেকে জল ও স্থল পথে সমানভাবে ঢুকছে ইয়াবার চালান। স্থলে কড়াকড়ি বাড়লে সাগরপথে তৎপরতা বেড়ে যায় ইয়াবা কারবারিদের। তাই ইয়াবা পাচাররোধে উভয়পথে নজরদারি বাড়ানোর দাবী সচেতন মহলের।