শফিক আজাদ, উখিয়া : কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তাদের কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব)।
শুক্রবার তিনি জানান, ট্রানজিট পয়েন্টের আগের গৃহটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার, মেরামত, বেডসহ আনুষঙ্গিক মালামাল, আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে একটি পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেই তাদের সেখানে রাখা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মো. মাহবুব আলম তালুকদার নিজেই সরেজমিনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রস্তুতকৃত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন দেখে এসেছেন। একইদিন তিনি উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোও পরিদর্শন করেছেন।
সেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রমসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রমের কার্যকারিতা দেখে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন মো. মাহবুব আলম তালুকদার।
পরিদর্শনকালে তিনি অধিকাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তাদের নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করতে দেখেন। ২/১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী যারা ক্যাম্পের বাহিরে গেছে, তারাও অনুমতি নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় কাজকর্মে গেছে।
এছাড়া ক্যাম্প এরিয়ায় যেসব বাজার ও দোকানপাট খোলা ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরআরআরসি মো. মাহবুব আলম তালুকদার আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনাগুলো বার্মিজ ভাষায় অনুবাদ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সেগুলো বুঝে সহজে পালন করতে পারে।
এ কঠিন সময়ে মসজিদে না গিয়ে নামাজ দোয়া নিজ নিজ গৃহে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তিনি সব ক্যাম্প ইনচার্জদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো ধরনের জমায়েত না হতে ক্যাম্প ইনচার্জ ও অন্যান্য দায়িত্বশীলেরা কড়া নজরদারি করছেন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে অবিরাম কাজ করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply