তাসপ্রিয়া বিনতে কাসেম : জাতিগত নিধনের ফলে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রাণ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ পালিয় আসা প্রায় ১২ লক্ষাধিক মিয়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) অবস্থান নিয়েছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে। এই রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত দেশি-বিদেশি দুই শতেরও অধিক এনজিও। রোহিঙ্গা ও এনজিওতে কর্মরতের বাড়ি চাপের কারণে এক ধরনের সংকট তৈরী হয়েছে। এতে স্থানীয়দের নানাবিধ ক্ষতি হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় ধ্বংস হয়েছে বনভূমি, পরিবেশ হারিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত,
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে রক্ষা পেতে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ঘর হতে বের হচ্ছেনা কেউ।
করোনা ভাইরাসে নয় বরং খাদ্যের অভাবে মরবে এমন আশংকা তাদের। স্থানীয় অসহায়দের জন্য সরকারি ত্রাণ বিতরনের পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে। পেয়েছেন অনেকেই। তবে এ ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত নয়, এমন মন্তব্য স্থানীয়দের।
খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশাচালক, অতি দুঃখের সাথে জানান নিজেদের দেশে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবস্থা তাদের চেয়ে ভালো। নিজেদের কষ্টের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
দেশি-বিদেশি এনজিওদের দেশের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অতীব জরুরি।
এ ব্যাপরে প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
লেখক: তাসপ্রিয়া বিনতে কাসেম, জনসচেতনতায়- রাইজিং কক্স ডটকম
শিক্ষার্থী
কক্সবাজার সরকারি কলেজ।
Leave a Reply